একাল,সেকাল / এযুগ,সেযুগ

  সেকাল/ সেযুগঃ



প্রশ্নঃ- কতজন সাহাবি মুফতী ছিলেন?
উত্তরঃ- সাধারণত উত্তর আসবে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.


প্রশ্নঃ- কতজন সাহাবি মুফাসসির ছিলেন?
উত্তরঃ- সাধারণত উত্তর আসবে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.


প্রশ্নঃ- কতজন সাহাবি কারি ছিলেন?
উত্তরঃ- সাধারণত উত্তর আসবে উবাই ইবনে কা'ব (রা)

প্রশ্নঃ- সর্বোচ্চ হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি (মুহাদ্দিস) কতজন ছিলেন?
উত্তরঃ- রাসুলের এতো সাহাবির মধ্যে হাজারের ঊর্ধ্বে হাদিস বর্ণনা করেছেন মাত্র
সাতজন সাহাবি।
এখানে সেই সাত সাহাবিসহ সর্বোচ্চ হাদিস বর্ণনাকারী
৯জন সাহাবির তালিকা তুলে ধরা হল-

১. আবু হুরায়রা (রা.)। হাদিস সংখ্যা ৫৩৭৪টি। মৃত্যু ৫৭ হিজরি। বয়স : ৭৮ বছর।

২. আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)। হাদিস সংখ্যা ২২১০টি। মৃত্যু ৫৮ হিজরি বয়স : ৬৭ বছর।

৩. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)। হাদিস সংখ্যা ১৬৬০টি। মৃত্যু ৫৮ হিজরি। বয়স : ৭১ বছর।

৪. আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)। হাদিস সংখ্যা ১৬৩০টি অথবা কোনও কোনও বর্ণনা মতে ২৬৩০টি। মৃত্যু ৭০ হিজরি। বয়স : ৮৪ বছর।

৫. জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.)। হাদিস সংখ্যা ১৫৪০টি। মৃত্যু ৭৪ হিজরি। বয়স : ৯৪ বছর।

৬. আনাস ইবনে মালেক (রা.)। হাদিস সংখ্যা ১২৮৬টি অথবা কোনও কোনও বর্ণনা মতে, ২২৮৬টি। মৃত্যু ৯৩ হিজরি। বয়স : ১০৩ বছর।

৭. আবু সাঈদ খুদরি (রা.)। হাদিস সংখ্যা ১১৭০টি। মৃত্যু ৪৬ হিজরি। বয়স : ৮৪ বছর।

৮. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)। হাদিস সংখ্যা ৮৪৮টি। মৃত্যু ৩২ হিজরি। বয়স : ৭৫ বছর।

৯. আমর ইবনুল আস (রা.)। হাদিস সংখ্যা ৭০০টি। মৃত্যু ৬৩ হিজরি। বয়স : ৮৮ বছর।


(সূত্র : কিতাবুস সুন্নাহ কবলাদবিন : ১/৪১৮, আল ইসাবা : ৩/২৫৭, সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/৪০০,১/৯৪, তিরমিজি :৩৮৯০)


প্রশ্নঃ- কতজন সাহাবি মুজাহিদ ছিলেন?
উত্তরঃ- এক্ষেত্রে উত্তর আসবে সকল সাহাবি মুজাহিদ ছিলেন।


********



একাল/ এযুগঃ

বর্তমানে আমাদের অবস্থা হল

প্রত্যেক ঘরে ঘরে মুফতী, ঘরে ঘরে মুহাদ্দিস,
ঘরে ঘরে হাফেজ, ঘরে ঘরে কারি ।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এরপর ও কেন সব মুসলমান সব জায়গাই মাইর খাচ্ছে?

উত্তরঃ- (০১)

উত্তর আসবে ,
আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন না করার কারণে
যথা
(০১) وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳۹﴾

আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা করে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।



(০২)

قَاتِلُوۡہُمۡ یُعَذِّبۡہُمُ اللّٰہُ بِاَیۡدِیۡکُمۡ وَ یُخۡزِہِمۡ وَ یَنۡصُرۡکُمۡ عَلَیۡہِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে আযাব দেবেন এবং তাদেরকে অপদস্থ করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং মুমিন কওমের অন্তরসমূহকে চিন্তামুক্ত করবেন।


(০৩)

উত্তর আসবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শের অনুসরণ না করার কারণে।


প্রশ্নঃ- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ কি এ ব্যপারে কিছু বলবেন কি?

উত্তরঃ-

১ম পর্ব

মক্কার জীবন
মক্কার জীবনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ হলো গালি দিচ্ছে দিক, থুথু দিচ্ছে দিক , মারতেছে মারোক, যতধরনের নির্যাতন হতে পারে হোক , কোন প্রতিবাদ করা যাবে না।

প্রথম স্তর
এটা হলো জিহাদের
প্রথম স্তর

যথা:- আল্লাহ তাআলা বলেন فَاصۡدَعۡ بِمَا تُؤۡمَرُ وَ اَعۡرِضۡ عَنِ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿۹۴﴾
সুতরাং তোমাকে যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তা ব্যাপকভাবে প্রচার কর এবং মুশরিকদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।

বিঃদ্রঃ- উক্ত আয়াত মক্কী জীবনের সাথে নির্দিষ্ট।

২য় পর্ব

মদিনার জীবন

২য় স্তর
নির্যাতিত হওয়ার
কারণে ক্বিতালের অনুমতি

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ হলো

(০১)

২২:৩৯

اُذِنَ لِلَّذِیۡنَ یُقٰتَلُوۡنَ بِاَنَّہُمۡ ظُلِمُوۡا ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی
نَصۡرِہِمۡ لَقَدِیۡرُۨ ﴿ۙ۳۹﴾
যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে, যাদেরকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কারণ তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দানে সক্ষম।

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন

وَ قَاتِلُوا الۡمُشۡرِکِیۡنَ کَآفَّۃً کَمَا یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ
کَآفَّۃً ؕ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ مَعَ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۳۶﴾
আর তোমরা সকলে মুশরিকদের সাথে লড়াই কর যেমনিভাবে তারা সকলে তোমাদের সাথে লড়াই করে, আর জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।

৩য় স্তর
যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে তাদের সাথে তোমরা লড়াই কর।

وَ قَاتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ الَّذِیۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ وَ لَا تَعۡتَدُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡمُعۡتَدِیۡنَ ﴿۱۹۰﴾
আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।

৪র্থ স্তর
অগ্রগামী হয়ে তাদের সাথে লড়াই কর

৯:১ بَرَآءَۃٌ مِّنَ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖۤ اِلَی الَّذِیۡنَ عٰہَدۡتُّمۡ مِّنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ؕ﴿۱﴾

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা সে সব লোকের প্রতি মুশরিকদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।

৯:৫

فَاِذَا انۡسَلَخَ الۡاَشۡہُرُ الۡحُرُمُ فَاقۡتُلُوا الۡمُشۡرِکِیۡنَ حَیۡثُ وَجَدۡتُّمُوۡہُمۡ وَ خُذُوۡہُمۡ وَ احۡصُرُوۡہُمۡ وَ اقۡعُدُوۡا لَہُمۡ کُلَّ مَرۡصَدٍ ۚ فَاِنۡ تَابُوۡا وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ فَخَلُّوۡا سَبِیۡلَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۵﴾

অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

৯:২৯ قَاتِلُوا الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ لَا بِالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ لَا یُحَرِّمُوۡنَ مَا حَرَّمَ اللّٰہُ وَ رَسُوۡلُہٗ وَ لَا یَدِیۡنُوۡنَ دِیۡنَ الۡحَقِّ مِنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ حَتّٰی یُعۡطُوا الۡجِزۡیَۃَ عَنۡ ‌یَّدٍ وَّ ہُمۡ صٰغِرُوۡنَ ﴿٪۲۹﴾

তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়।


হে উম্মতের কায়েদ উলামায়ে কেরাম! আপনি এ ব্যাপারে কোন ফিকির করেছেন কি?

হে উম্মতের রাহবর উলামায়ে কেরাম! এ ব্যাপারে চিন্তা ফিকির এটা আপনার দায়িত্ব নয় কি?

হে উম্মতের দরদী উলামায়ে কেরাম! রাসূলের অনুসারী হলে রাসূলের ন্যায় দরদী হওয়া আপনার কাজ নয় কি?
হে উম্মতের পথ পরিদর্শক উলামায়ে কেরাম! রাসূলের ন্যায় পথপ্রদর্শন আপনার দায়িত্ব নয় কি?
হে উম্মতের জিম্মাদার উলামায়ে কেরাম! রাসূলের ন্যায় জিম্মাদার হওয়া আপনার দায়িত্ব নয় কি?
হে উম্মতের জবাবদিহি উলামায়ে কেরাম! জবাবদিহি আপনার করতে হবে তা স্বরণ আছে কি?

হে আম্বিয়াদের ওয়ারিশ উলামায়ে কেরাম! আপনি যে শুধু ইলমের ওয়ারিশ তা আপনার স্বরণ আছে কি?

হে শেষ নবীর উত্তরসূরী উলামায়ে কেরাম! নবীর আদর্শ যে আপনার আদর্শ তা আপনার মনে আছে কি?

হে নায়েবে নবী দাবিদার উলামায়ে কেরাম! নবীদের ন্যায় দায়িত্ব পালন করতেছেন কি?


আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হেদায়েত দান করুক।
কুরআন ও হাদিসের সঠিক বুঝ দান করুক।
কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুক।

আমিন।

0 মন্তব্যসমূহ